একটি টগবগে যুবক পূর্বদিক থেকে নাঙ্গলকোট বাজারে যাচ্ছে মোটরসাইকেল চালিয়ে। সে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার পর মোটর সাইকেলটি দক্ষিণ পাশে গিয়ে পড়ে অাছে, অার পিকঅাপ ভ্যানের চাকায় থেঁতলে যাওয়া মাথা নিয়ে নিথর দেহটি পড়ে অাছে তাও রাস্তার দক্ষিণ অংশে।
পিকআপ ভ্যানটি যাচ্ছে পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে। তার থাকার কথা উত্তর পাশে অথচ সে দক্ষিণ পাশে গিয়ে চাপ দিয়ে চাকায় পিষে ছেলেটাকে হত্যা করলো।
দুর্ঘটনার ধরন দেখে মনে হচ্ছে পরিকল্পিত হত্যা অথবা পিকঅাপ ভ্যান চালকের বেপরোয়া গতি কেড়ে নিলো তার জীবন।
নিহতের সংবাদটি নিম্নে দিয়ে দিলাম;-
নাঙ্গলকোটে মায়ের ঔষধের জন্য গিয়ে বেপরোয়া পিকআপ ভ্যান চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু
মায়ের ঔষধের জন্য যাওয়ার পথে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌর সদরের আল্ট্রা মডার্ন হাসপাতাল সংলগ্ন মাহিনী নাঙ্গলকোট আঞ্চলিক সড়কে পিকআপ ভ্যানের (ঢাকা মেট্রো ন ২১-০০০৬) চাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী যুবকের ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক উপজেলার রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের বেতাগাঁও গ্রামের কোম্পানি বাড়ীর মফিজুর রহমানের ছেলে আবু কাউসার শাহীন (২৫) বলে জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর পিকআপ ভ্যান চালক পালিয়ে যায়। পরে নিহতের লাশ উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ।
জানা যায়, আবু কাউসার নিজবাড়ী উপজেলার বেতাগাঁও গ্রাম থেকে তার ছেলে ও ভাতিজার জন্য খেলনা গাড়ি এবং মায়ের জন্য ঔষধ কিনতে নাঙ্গলকোট বাজারে আসার পথে দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।
আবু কাউসার দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় জিপিএ-৫ লাভ করেন। তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ও কুমিল্লা আলিয়া মাদ্রাসা থেকে কামিল পাশ করে এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরীর জন্য চেষ্টা করছেন। পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য কুমিল্লা ইপিজেডে একটি কোম্পানিতে চাকুরী করতো। করোনাভাইরাসের কারনে ওই প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তিনি বাড়ীতে অবস্থান করছেন।
নিহত আবু কাউসার দু’ বছর পূর্বে একই উপজেলার পৌর সদরের বাতুপাড়া গ্রামে বিবাহ করেন। তার সাত মাস বয়সী এক শিশুপুত্র সন্তান রয়েছে।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল ও পিকআপ ভ্যানটি থানা পুলিশ জব্দ করেছে।
রিপোর্টারঃ মোঃ কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী।