Select a date and time slot to book an Appointment
Date Of Appointment
চোখ দিয়ে পানি পড়ার মত একটি ঘটনা।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম,
.........
তিনদিন হলো হযরত মুহাম্মদ (সা.) মদিনাতে নেই।
কেউ জানেনা নবীজি কোথায়। ওমর ফারুক (রাযিঃ) মুক্ত তরবারি হাতে ঘোষণা দিলেন, “যদি নবীজির কোন কিছু হয় তবে
আমি ওমর বলছি মক্কার একটা মুনাফিকও আস্ত
শরীরে থাকবে না।“ এদিকে আবু বকর (রাযিঃ)
বললেন,
থাম ভাই চল নবীজির তালাস করি। দুই জনে মদিনা থেকে মক্কার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন।
মরুভূমি পেরিয়ে পাহাড়ের এলাকাতে আসলেন। একটু দূরে দেখলেন এক রাখাল দাড়িয়ে আছে।
আবু বকর (রাযিঃ) ও ওমর ফারুক (রাযিঃ) রাখালকে জিজ্ঞেস করলেন,
তুমি কি মুহাম্মদ (সা.) কে দেখেছ?
রাখাল উত্তরে বলল
আমি মুহাম্মদ (সা.) কে চিনি না এবং আপনাদেরও চিনি না।
তবে ঐ পাহাড়ের উপরে একজন লোক ইয়া উম্মাতি, ইয়াউম্মাতি বলে কাঁদছেন।
আবু বকর (রাযিঃ) ও ওমর ফারুক (রাযিঃ)
বুঝতে বাকি ছিলনা ঐ লোক আর কেউ না দয়াল নবীজি হযরত মুহাম্মদ (সা.)।
রাখাল আবার বলল লোকটির
সাথে সাথে আমার সব উঠ, ভেড়াগুলোও কাঁদতেছে আর খাওয়া বন্ধ করে দিছে।
আপনারা উনাকে নিয়ে যান তা না
হলে আমার সব উঠ, ভেড়াগুলো
কাঁদতে কাঁদতে মরে যাবে।
আবু বকর (রাযিঃ) ও ওমর ফারুক (রাযিঃ) পাহাড়ে গিয়ে দেখলেন দয়াল নবীজি
সেজদা-রত অবস্থায় ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি বলে কাঁদছেন।
নবীজির কষ্টে আবু বকর (রাযিঃ) বললেন ইয়া রসুলুল্লাহ আমি আবু বকর ইসলাম গ্রহণ করার পর থেকে যত আমল করেছি সব আপনার উম্মাতকে দিয়ে দিলাম, আপনি দয়া করে
মাথা উঠান। নবীজি মাথা উঠায় না।
এবার ওমর ফারুক (রাযিঃ) বললেন
ইয়া রসুলুল্লাহ আমি ওমর যে আপনার মাথা
নিতে গিয়ে নিজের মাথা দিয়ে দিয়েছি সে আপনার উম্মাতের জন্য সব আমল দিয়ে দিলাম। নবীজি মাথা উঠায় না।
আবু বকর (রাযিঃ) বললেন ওমর কাজ হবে না
রসুলুল্লাহকে একমাত্র ফাতিমা শান্ত করতে পারবে।
তারা দুই জনে মদিনা দিকে ছুটছেন,
পথে হযরত আলী (রাযিঃ) এর সাথে দেখা। আবু বকর ও ওমর (রাযিঃ) বললেন
সামনে গিয়ে লাভ নেই,
রসুলুল্লাহকে শান্ত করতে ফাতিমাকে লাগবে। এবার তিন জনে ফাতিমার বাড়ির সামনে আসলেন আলী (রাযিঃ) ফাতিমাকে ডাক
দিলেন,
ফাতিমা বাইরে আসে স্বামীর চেহারা দেখে
বললেন, আপনাকে এমন দেখাচ্ছে কেন,
তবে কি মক্কার মুনাফিকরা আমার আব্বাজানকে মেরে ফেলছে?
হযরত আলী (রাযিঃ) বললেন তুমি তাড়াতাড়ি চলো নবীজি ইয়া উম্মাতি, ইয়া উম্মাতি বলে কাঁদছেন, মাথা উঠাচ্ছেন না।
ফাতিমা দৌরে গেলেন। নবীজির কাছে গিয়ে
বলছেন আব্বাজান আপনি সফরে যাবার আগে এবং সফর থেকে ফিরে প্রথমে আমাকে দেখতেন,
আমার সাথে কথা বলতেন।
কিন্তু আজ তিন দিন হল আপনার কোন
খোঁজ নেই, আপনি কি আমাকে ভুলে গেছেন?
নবীজি তাও মাথা উঠায় না।
ফাতিমা (রাযিঃ) বললেন আব্বাজান আমি আপনার ফাতিমার সব নেকী আপনার
উম্মাতকে দিয়ে দিলাম। নবীজি মাথা উঠায় না।
নবীজির দুই পাশে হাসান, হুছাইন দাড়িয়ে
বলতেছেন নানাজান উঠেন, নানাজান উঠেন। নবীজি মাথা উঠায় না।
হঠাৎ ফাতিমা (রাযিঃ) বলে উঠলেন,
“আব্বাজান আপনি উঠেন আমি আপনার উম্মাতির জন্য আমি হাসান, হুছাইনকে কুরবানি করে দিলাম।“
আল্লাহ্ আকবার, আল্লাহ্ আকবার, আল্লাহ্ আকবার।
এবার নবীজি মাথা উঠালেন আর বললেন ফাতিমা তুমি কি দোয়া করলা আমার আল্লাহ্ তোমার দোয়া কবুল করে ফেলছেন।
নবী-রসূল, সাহাবিদের রক্ত ঝরানোর কারনেই সেই দ্বীন
আজ আপনার, আমার কাছে আসতে পেরেছে।
আসুন আল্লাহ্ হুকুমগুলো নবীর তরীকায় পালন করার চেষ্টা করি। আমিন,
আজেবাজে পোষ্ট শেয়ার করতে পারেন ভালো পোষ্ট পারেন না এটা শেয়ার করুন অন্যদের পড়ার সুযোগ দিন
.
দ্বিনের পথে সবাইকে দাওয়াত দিন ইনশাআল্লাহ ইসলামের বিজয় চিরদিন হয়েছে আর হবে,,
View more on Facebook
We appreciate you contacting us. Our support will get back in touch with you soon!
Have a great day!
Please note that your query will be processed only if we find it relevant. Rest all requests will be ignored. If you need help with the website, please login to your dashboard and connect to support